Tamanna Chowdhury

Tamanna Chowdhury
Posted 1 month ago

খাবার খাওয়ায় নাই স্বাধীনতা
মাথায় শুধু ডায়েটের চিন্তা।

একটা সময় কত খেয়েছি
যা পেয়েছি তা-ই খেয়েছি।

এখন সামনে কত খাওয়া
যা খেতে নেই তা-ই মানা।

এখন খাবার খেলেই গ্যাস
ওজন বেড়ে যায় যে বেশ।

তাই তো খেতে ভয় করি
সকল খাবার মিস করি।

‪@tamannachowdhury.dietplan‬

115 - 6

Tamanna Chowdhury
Posted 3 months ago

আমার মা বলতেন, জীবনে অনেক কিছু শেখার আছে।জীবনে শেখার শেষ নেই।আমরা অনেক ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে হয়তো ভাবিনা, কিন্তু আমাদের অবশ্যই ভাবা উচিত।

এমনই একটি বিষয় নিয়ে আজ কথা বলছি যা আমাকে অনেক ভাবায়।বিষয়টি হচ্ছে কলিং বেল।ছোট বেলায় আমার বাবা আমাদের শিখিয়েছিল কোন বাসায় গিয়ে এমনকি নিজের বাসায়ও কখনও জোরে কলিং বেল না বাজাতে।নিয়ম হচ্ছে একবার চাপ দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা।

কিছু মানুষ এমন ভাবে কোথাও গেলে কলিং বেল চাপতে থাকে বা চেপে ধরে গেট না খোলা পর্যন্ত যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। এটা এক বিরাট অভদ্রতা। ভিতরে বয়স্ক কেউ থাকলে তিনি ভয় পেতে পারেন, শিশু থাকলে তারা আওয়াজে ভয় পেতে পারে, কেউ ঘুমিয়ে থাকলে তার হঠাৎ ঘুম ভেংগে ভয় পেতে পারে, কোন রোগী থাকলে সে ঘাবড়ে যেয়ে তার সমস্যা হতে পারে, ঘরে কেউ নামাজ পড়তে থাকলে তার অসুবিধা হতে পারে।আরো অনেক কিছুই হতে পারে।

তাই কারো বাসায় গিয়ে বা নিজের বাসায় আসলেও কলিং বেল চেপে ধরে রাখা বা জোরে ঘন ঘন চাপ দেয়া থেকে বিরত থাকুন। একবার প্রেস করে অপেক্ষা করুন।কিছু বিরতি পর আবার একবার প্রেস করুন।দরজা খুলবেই।

বিকৃত ভাবে কলিং বেল বাজিয়ে ঘরের ভিতরে একটি তান্ডব না করলে কলিং বেল ও ভালো থাকবে। তা না হলে কলিং বেল ও ঘন ঘন নষ্ট হবে। ভদ্রতা শুধু কাজে বা ব্যবহারে না, কারো বাসায় গেলে কলিংবেলটা বাজানোর মধ্যেও কিন্তু ভদ্রতা প্রকাশ পায় মনে রাখবেন।

289 - 17

Tamanna Chowdhury
Posted 4 months ago

সারাজীবন মানুষের জন্য সবকিছু করবেন যিনি, তার প্রয়োজনে সে কাউকে পাশে পাবেনা।এটাই ঘটে বেশির ভাগ সময়।

199 - 10

Tamanna Chowdhury
Posted 6 months ago

কোথাও যাবেন ভেবে যখন সাজবেন , তখন নিজে আয়নায় দাঁড়িয়ে ভালো করে দেখবেন নিজেকে। যদি নিজের কাছে নিজেকে খুব ভালো লাগে, তাহলে দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করবেন না," আমাকে কেমন লাগছে?" অর্থাৎ আপনাকে কেমন লাগছে এই সাজে বা এই পোশাকে এই কথা কারো কাছে জানতে চাইবেন না। নিজের কাছে নিজেকে সুন্দর লাগছে মানে , একশত ভাগ আপনাকে সুন্দর দেখাচ্ছে। এমনকি অনেকের মধ্যে গেলে কে কি বলে? কেউ কোন খুঁত ধরে কিনা? সবার কাছে আপনার সাজ ঠিক আছে কিনা ? ইত্যাদি নিয়ে কোন অবস্থাতেই ভাববেন না।

এই ভাবনা গুলো আপনার সৈন্দর্যকে নষ্ট করবে, মনকে খারাপ করে দিবে , আপনার পছন্দের সাজ পোশাককে হেয় করবে, আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিবে। তখন আপনি আপনার ভিতরকার মানুষটিকে গুটিয়ে ফেলবেন, কনফিডেন্স হারাবেন, যা আপনার আচরনে প্রকাশ পাবে। মনে রাখবেন সাজতে হয় নিজের খুশির জন্য। অন্যরা কে কি বলে সেই জন্য না।যে আপনার আপন, যে আপনাকে বুঝে , যে আপনার প্রকৃত বন্ধু তার কাছে আপনি না সাজলেও সুন্দর। দেখবেন মা , বাবা কখনো বলে না তোমাকে কেমন দেখাচ্ছে !!

বাবা -মা -সন্তান এই সম্পর্কের মানুষগুলো কখনো এমন বলে না। যারা বলে তারা আসলে আপনাকে মন থেকে ভালোবাসে না।তাই তাদের কথা ভেবে নিজের মনকে কষ্ট দিবেন না। নিজের কাছে নিজেকে সুন্দর ভাবা মানে আল্লাহর প্রতি আপনার কৃতজ্ঞতা ।

তবে ব্যতিক্রম ও আছে , তাদেরটা অহংকার । আমি তাদের কথা বলিনি। বলেছি সরল সুন্দর সেই সহজ মানুষ গুলোর কথা । তাই এখন থেকে আয়না আর নিজের মনকে বিশ্বাস করুন দেখবেন ভালো আছেন।

299 - 8

Tamanna Chowdhury
Posted 6 months ago

হৃদয়কে ভালবাসুন । হৃদয়ের যত্ন নিন। ট্রাস ফ্যাট যুক্ত খাবার , অতিরিক্ত সোডিয়াম যুক্ত খাবার পরিহার করুন। হৃদয়ের ভালো থাকার জন্য সঠিক হৃদয়ের মানুষকে বেছে নিন।যে আপনার হৃদয়কে কষ্ট দিবে তার থেকে দূরে থাকুন। হাসি খুশী থাকুন কেননা এটাই হৃদয়ের পুষ্টি। দুঃশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন হৃদয়কে হালকা রাখুন। হৃদয়ের যত্ন হৃদয় দিয়ে করুন।

✍️ Tamanna Chowdhury
‪@tamannachowdhury.dietplan‬

284 - 7

Tamanna Chowdhury
Posted 1 year ago

আমাকে ছোট বেলায় আমার মা অনেক যত্ন করতেন।আমি চাচ্ছি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে।আমার মা যে কাজ গুলো করতেন তা থেকে শেখার অনেক কিছু আছে।

হাতের কনুই অনেকের দেখবেন কালো হয়।আমার মা হাতের কনুই যাতে কালো না হয় তাই কোন ভাবেই পড়ার টেবিলে হাতের কনুই রেখে পড়তে দিতেন না।যে কোন কিছুর উপরে হাতের কনুই রেখে কাজ করলে দীর্ঘ সময় অবশ্যই হাতের কনুই এ কালো দাগ হয়।তাই খেয়াল রাখবেন বাচ্চাদের ওরা টেবিলে বা অন্য কোথাও যাতে কনুই রেখে দীর্ঘ সময় কিছু না করে।

আমার মা আমাকে স্পঞ্জ স্যান্ডেল বা যেসব স্যান্ডেলের দুই ফিতা থাকে সেগুলো পরতে দিতোনা।দুই আংগুলের মাঝে ফাঁক হয়ে যায়।পায়ের আংগুল দেখতে খারাপ লাগে। সবসময় আমাদের তিন বোনকে আংগুল চেপে রাখে এমন স্যান্ডেল পরাতেন।

আমার মা শীত কালে আমাদের তিন বোনকে বিকেলে হাত মুখ পরিস্কার করে ক্রিম দিয়ে নাকের কাছে ভেসলিন লাগিয়ে দিতো।যাতে কোন কারনে নাক দিয়ে পানি পরে জমে না যেতে পারে।হাতে ছোট একটি ন্যাপকিন দিয়ে রাখতেন যাতে আমরা ক্লিন করতে পারি।রুমাল টা আমার মা ই ক্লিন করতেন।

শীতের দিনে আমার মা দুধের সর বানিয়ে আমাদের মুখে মেখে দিতেন।নিজে সর বানাতেন মুখে মেখে আধা ঘণ্টা রাখতেন।শীতে ত্বক মসৃন রাখার জন্য মা এমন করতেন।

আমরা দুই বোন চশমা পড়ি অনেক ছোট বেলা থেকে। চশমা পরলে যাতে নাকের দুই পাশে দাগ না হয় তাই রাতে ঘুমানোর আগে আমাদের নাকে লোশন ম্যাসেজ করতো।

বাচ্চাদের ভালোবাসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সঠিক যত্নও পাশাপাশি প্রয়োজন। ছোট বেলার যত্ন বাচ্চাদের বড়বেলার আফসোস কমায়, খরচ কমায়।সারাদিন শুধু জোর করে খাওয়ানোকে যত্ন বলেনা।মনে রাখবেন বাহ্যিক যত্ন বাচ্চাদের সুন্দর ও মানুসিক ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।‪@tamannachowdhury.dietplan‬

421 - 20

Tamanna Chowdhury
Posted 1 year ago

আমার ছেলে অংকে অনেক খারাপ ছিল। সব সাবজেক্ট এ ভালো করলেও অংকে অনেক খারাপ করতো।আমি খুব লজ্জায় থাকতাম টিচার র্স প্যারেন্ট মিনিং এর দিন।একবার আমি রেজাল্ট এর দিন ভয়ে ভয়ে স্কুলে গেলাম।রেজাল্ট সব মোটামুটি কিন্তু অংকে খারাপ। টিচার আমাকে রিপোর্ট কার্ড দিয়ে বললো, অংকপ্র‍্যাক্টিস করাবেন।আমি খুব মন খারাপ করেছিলাম কারন সেই বার ওকে অনেকপ্র‍্যাক্টিস করানো হয়েছিল। টিচার আমার মন খারাপ দেখে আমাকে বলেছিলেন , আপনি রেজাল্ট দেখলেন কিন্তু রিপোর্ট কার্ড এর কমেন্ট দেখেননি। আমি তখন রিপোর্ট কার্ড খুলে নীচে কমেন্ট লিখা দেখি,Tanveen is a very good human. টিচার বললেন আপা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ভালো মানুষ সবাই হয়না।

আমার সেদিনের পর ওর রেজাল্ট নিয়ে কোনদিন খারাপ লাগেনি। আমি অংকে ভালো ছিলাম আমার ছেলে বিজনেস ইংরেজি এই সাবজেক্ট গুলোতে ভালো।

শিক্ষা সত্যি জরুরী কিন্তু ভালো মানুষ হওয়া আরো জরুরি। আমার এক পরিচিত ছিল, যার মেয়ে অনেক ভালো স্টুডেন্ট কিন্তু বাসার সহযোগী দের মারধোর করতো খারাপ ব্যবহার করতো।এটা অনেক অভিভাবক মনে করে বাচ্চা ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু এটা ভিন্ন রূপে বড় হওয়ার পর প্রকাশ পায়।

তাই ভালো স্টুডেন্ট নিয়ে অভিভাবকদের অহংকার না করে তার মানবিক বিকাশেও মনোযোগ দেয়া জরুরী। অনেক অভিভাবক সন্তান ভালো স্টুডেন্ট হবে এটাকেই বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভাবে অথচ জীবন শিক্ষা আচরণ মানবতাবোধ সব কিছুই অনেক বেশী গুরুত্ব বহন করে।

423 - 23

Tamanna Chowdhury
Posted 1 year ago

ছোটবেলায় দুইটা বিষয় আমার মা বাবা আমাদের তিন বোনকে শিখিয়েছেন। আমরা তিন বোন এখনও মেনে চলি এবং আমাদের বাচ্চাদেরকেও আমরা আলহামদুলিল্লাহ শিখাতে পেরেছি।

১ম বিষয়টি হলো , কোথাও বেড়াতে গেলে কখনও সামনে কেউ খাওয়া দিলে বা খাবার সার্ভ করার সময় খাবারের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবেনা। কোথাও কেউ খাবার রাখলে বা খেলে তাকিয়ে থাকা যাবেনা। এখনও কারো খাবারের দিকে কখনো চোখ যায়না। কারো বাসায় বেড়াতে গেলে " প্লিজ একটু খান" এই কথা না বলা পর্যন্ত দেখি ও না কি খেতে দিছে।

২য় বিষয় টি হলো কেউ টাকা গুনলে বা টাকা নাড়াচাড়া করলে সেখান থেকে সরে যেতে হবে আর কোন ভাবেই টাকার দিকে তাকিয়ে থাকা যাবেনা। আড়চোখে ও না। আমার বাবা টাকা গুনলেও আমরা বোনেরা রুম থেকে বের হয়ে যেতাম।

দুইটা বিষয় খুব ছোট কিন্তু এর ইমপ্যাক্ট বা ফলাফল জীবনকে বদলে দিতে পারে।

সন্তানকে এই ভদ্রতা গুলো অবশ্যই শেখাবেন। লোভ অনেক কমে যাবে জীবন থেকে।না হলে দেখবেন হাজার খাবার খাওয়ানোর পরও আপনার সন্তান খাবার দেখলেই হুমড়ি খাবে , তাকিয়ে থাকবে মনে হবে দেখলে জীবনে কোন দিন আপনি তাকে খাওয়ান নি।আর জীবনে তাকে যত টাকাই দেন খুশী করতে পারবেনা।টাকার লোভ আর চাহিদা অনেক বেশী হবে।

তাই সময়ে শিক্ষা দিন

471 - 17

Tamanna Chowdhury
Posted 1 year ago

কিছু মানুষ আছে দেখবেন, ভরা মজলিসের মধ্যে অবিবাহিত মেয়ে বা ছেলেদের দেখলে বলবে, কি বিয়াসাদি করবা না? তোমার খবর কি বিয়া করনা কেন? আর কবে বিয়ে করবা বয়স তো শেষ হয়ে যাচ্ছে? কি আমরা মরে গেলে বিয়া করবা? কি ব্যাপার আর কোন বয়সে বিয়া করবা? এখন বিয়ে না করলে আর বিয়ে হবে?

ইত্যাদি জাতীয় কথা তারা সবার সামনে মানুষগুলো কে উদ্দেশ্য করে বলে। শুধু তাই না, এই ছেলে মেয়ে গুলোর অভিভাবক অর্থাৎ বাবা মা কেও ছাড়েনা। সবার সামনে ভালো কথা এমন কি কুশলাদি বিনিময় বাদ দিয়ে এই প্রসঙ্গে কথা বলে, তোমরা মেয়ের বিয়া দাওনা? এরপর আর বিয়ে হবে? কি তোমরা মেয়ে ঘরে বসিয়ে রাখছো কেন?

আসলে আমাদের ফ্যামিলি তে ছোটবেলা থেকে এইসব কথা বলতে কখনো শুনিনি। এগুলো খুব অসামাজিক কথা। কিন্তু যারা বলে তারা নিজেদের খুব সামাজিক আর দায়িত্ববান ভাবেন।

অন্যের সন্তান কবে বিয়ে হবে এটি তাদের বিষয়। আমরা ছোট বেলায় শিখেছি, জন্ম মৃত্যু আর বিয়ে আল্লাহর হাতে। পৃথিবীর সব কিছু আল্লাহর হুকুমে হয়, মানুষ চেষ্টা করতে পারে কিন্তু আল্লাহর হুকুম ব্যাতিত গাছের পাতাও নড়বেনা।

তাই আমাদের উচিত কারো সামনে হোক অথবা অগোচরে কারো বিয়ে কেন হয়না, কি সমস্যা এইসব বিষয়ে পরচর্চা না করি। আয়নায় নিজেকে দেখাই ভালো, দূরবীন দিয়ে অন্য মানুষদের না দেখে।

328 - 20

Tamanna Chowdhury
Posted 1 year ago

বাসায় যখন বেগুনি বানানো হয়, আমরা বেগুন কত সাবধানে কাটি , দেখি কোন পোকা আছে কিনা? যদি পোকা থাকে টাকার মায়া করি না সেটা ফেলে দেই। আপনার কি মনে হয় সব হোটেল এই কাজটি করে?

আমরা বাসায় যখন মুরগী কিনে আনি সাথে সাথে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রান্নার আগ পর্যন্ত ঢেকে রেফ্রিজারেটরে রাখি, যাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি না হয়। আপনার কি মনে সব হোটেল গুলো কি এই ভাবে কাজটি করে?

ছোলার ডাল রান্নার আগে ছোলা ধুয়ে নেয়ার সময় আমরা নষ্ট ছোলা হাতে পরলে ফেলে দেই, আলুতে পোকা থাকলে ফেলে দেই।কত যত্ন আর সাবধানে রান্না করি। আপনার কি মনে হয় কোন হোটেলে এই কাজ টি এত যত্ন করে করে?

শরবত বানাতে আমরা হাত, পানি খুব সাবধানে রাখি। যে চিনি ব্যবহার করি তা যত্নে রাখা থাকে।আপনার কি মনে হয় সব হোটেলে একই কাজ করে?

আমরা বাড়িতে যে যত্ন আর সাবধানে খাবার বানিয়ে থাকি তাতে অনেক টেস্ট না থাকলেও অনেক স্বাস্থ্যকর হয়। সব হোটেল গুলো এত যত্ন আর সাবধানে করে বলে আমি মনে করিনা। তাই একজন পুষ্টিবিদ বলার জন্য নয়, নিজের বিবেচনায় বাইরের খাবার এড়িয়ে চলবেন।

252 - 16

Welcoem to posts!!

Tamanna Chowdhury Posted 1 month ago

Tamanna Chowdhury Posted 3 months ago

Tamanna Chowdhury Posted 4 months ago

Tamanna Chowdhury Posted 6 months ago

Tamanna Chowdhury Posted 6 months ago

Tamanna Chowdhury Posted 1 year ago

Tamanna Chowdhury Posted 1 year ago

Tamanna Chowdhury Posted 1 year ago

Tamanna Chowdhury Posted 1 year ago

Tamanna Chowdhury Posted 1 year ago

Tamanna Chowdhury
Posted 1 month ago

Tamanna Chowdhury
Posted 3 months ago

Tamanna Chowdhury
Posted 4 months ago

Tamanna Chowdhury
Posted 6 months ago

Tamanna Chowdhury
Posted 6 months ago

Tamanna Chowdhury
Posted 1 year ago

Tamanna Chowdhury
Posted 1 year ago

Tamanna Chowdhury
Posted 1 year ago

Tamanna Chowdhury
Posted 1 year ago

Tamanna Chowdhury
Posted 1 year ago