Kahon | Poke

Kahon
Posted 1 year ago

ভূতের সেই মহিমা আজ আর নেই।

হ্যারিকেনের লিকলিকে শিখা, প্রদীপের নিভু-নিভু আঁচ, মোমবাতির টুপটাপ গরম মোমের নজর এড়িয়ে- চৌকির তলা, শ্যাওড়া গাছের ছায়া কিংবা চাষজমির মাঝখানে এক ছটাক মিথেনের আড়াল থেকে ভূতেরা আজ আর তেমন বেরিয়ে আসে না।

গত কয়েক দশক ধরেই হয়ত ভূতগুলো বুঝে গেছিল, তাদের দিন শেষ (মানে, ভূতাবস্থায়। এমনিতে দিন শেষ বলেই না তারা ভূত হয়েছে!)

তাই তার চুপিচুপি আরো ভিতরে ঢুকতে শুরু করল।
আর মোটামুটি পাকাপাকি জায়গা করে নিল কেশব নাগের বইয়ের মলাটে, মার্কশীটের লালকালো কালিতে, মাধ্যমিকের নাম উচ্চারণে।

শহরের বড়বড় রাস্তাগুলোয় এখন আলো যথেষ্ট। মোবাইলে ফ্ল্যাশলাইট আসার পর লোডশেডিং-এর অপেক্ষা করে করে ভূতেরা হার মেনে নিয়েছে। আশপাশের বাড়ির এলইডি লাইটের স্ট্রিপগুলো যে নিভে যাবেনা ঘন্টাদুই পরে- তারা জেনে গেছে ভালো করেই।

তাই এখন, ভূতেরা ঢুকে পড়েছে আরো, আরো ভিতরে।

এমএস টীমসের গা-শিরিশিরে সুরেলা চাইমস, পিলে-চমকানো টুংটাং নোটিফিকেশন, হাড়কাঁপানো কোয়ার্টারলি টার্গেট থেকে শুরু করে ইয়াব্বড় ওষুধের বিল, ঘুম-না-আসা রাত, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করতে করতে বুকের ভিতর মুচড়ে ওঠা জেলাসি...ভূতেরা এখন সর্বত্র বিরাজমান।

অদ্ভুতভাবে তাই আজো, "আমিই বুঝি পিছিয়ে পড়লাম", "আমারই নম্বর কম এসে গেল", "আমারই হয়তো কোনো গুরুত্ব নেই" -এমন অসংখ্য বোঝা-না-বোঝা সংলাপ, এবং অকারণ হাত-কাঁপুনি, মাথাধরা, "ধুর কিসসু ভাল্লাগেনা"-র মধ্যে দিয়ে ভূতগুলো ঠিকই থেকে গেছে।

ভূতেরা হয়ত থেকেই যায়, কোনো না কোনো রূপে।
যতক্ষণ না আমরা সজাগ হয়ে তাদের উপড়ে ফেলছি, ভিতরে-বাইরে অনেক অনেক আলো জ্বালিয়ে।

শুভ ভূত-চতুর্দশী।

- কাহন

4 - 8

Kahon
Posted 1 year ago

এবছরের আমার অন্যতম সেরা মুহূর্ত - সাইকোলজিস্ট ডা. অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কলকাতা বইমেলায় দেখা করে তাঁর বইয়ে স্বাক্ষর নেওয়া।
ওনার ব্লগ-প্রবন্ধ-ভিত্তিক বই "অনু-সঙ্গ"-এর রিভিউ আসছে, খুব শিগগিরি!

আমার চ্যানেলের নোটিফিকেশন বটনটা অন রেখো। 😊

2 - 1

Kahon
Posted 1 year ago

অন্য ইউনিভার্সিটির পাসিং মার্কস কত জানিনা।
কিন্তু কদিন ধরে যা চলছে, তাপমাত্রা অনায়াসে MAKAUT কি IGNOU-র পরীক্ষা পাস করে যাবে।

লোয়েস্ট টেম্পারেচার যা দেখাচ্ছে, দেড় মাস আগেও বোধ হয় সেটা হায়েস্ট ছিল।

কাঠ-ফাটা, ফুটি-ফাটা, পিচ-গলানো... সবকটা বিশেষণ একসাথে বসালে হয়ত বা লিখে বোঝানো যাবে, গরম ঠিক কতটা। দেওয়ালে হাত দিচ্ছি-গরম। আয়না- গরম, কাঠের দরজা গরম, মার্বেলের মেঝে গরম। জল... আর একটু তেতে উঠলেই আর রান্নার গ্যাসের দরকার লাগবে না।

নিম্নচাপ-কালবৈশাখী- সব তো এখন অতীত বটেই, হতচ্ছাড়া মেঘগুলো মাঝেমাঝে আকাশ জুড়ে ছেয়ে গিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে- ভাপে সেদ্ধ হওয়া কাকে বলে!

মাঝেমাঝে মনে হচ্ছে, সারাদিন ফোনে "মেঘমল্লার" চালিয়ে রাখলে কি বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে? নাকি প্ল্যানচেট করে তানসেন-কেই ডাকতে হবে! - উনি এসে গান না ধরলেও চলবে, শিরদাঁড়া দিয়ে দু-একবার ঠান্ডা স্রোত নেমে গেলেই যথেষ্ট।

"শহরের উষ্ণতম দিনে"-র একের পর এক রেকর্ড ব্রেক হতে যায়, আলিপুর এখনো "বৃষ্টির বিশ্বাস" এনে দিল না। "দীর্ঘদগ্ধ দিন"- শুনে কবিগুরুর উপর হিংসা হচ্ছে, ওনার সময় নিশ্চই এত গরম পড়ত না। রোদের দিকে তাকালেই চোখ ফেটে জল আসছেন আর উনি কিনা লিখলেন, "গগনে রয়েছি চাহি"!!

এখানে বীনব্যাগে বসতে গেলে ছ্যাঁকা খেয়ে তড়াক করে লাফিয়ে উঠছি, আর সুকুমার রায়ের রাজা কিনা "রোদে রাঙা ইঁটের পাঁজা"-য় বসে দিন কাটাত!
"প্রশ্ন"-এর প্যারোডি বানিয়ে বলতে ইচ্ছা করছে, " মাগো একটু বৃষ্টি দিতে বল, সকাল থেকে ঘেমেছি যে মেলা..."। নিদেন,
"কী গরম লাগছে, প্রাণগুলো উঠি-উঠি, যেন শুধু বলে বৃষ্টি আনতে।"

না মানে, দাবিটা কী? শেষ বসন্তে এত চৈত্রসেলের মাঝেও তো তাপমাত্রায় কোনো ছাড় দিল না। বৈশাখ পড়েও পাঁচদিন কেটে গেল, এখন তো কালবৈশাখী একটা হতে পারে! কেউ তো এখন আর "কালচৈত্রী" বলে মুখ বেঁকাতে পারবে না!

ভুল করে নিজেকে প্রবোধ দিয়ে ফেলছি, ৮ জুন নাগাদ তো বর্ষা আসে, আর কদিন জাস্ট... তারপর মনে পড়ে যাচ্ছে এই তো সবে এপ্রিলের মাঝামাঝি....

-এই পর্যন্ত লিখে বেশ ফুরফুরে মনে পরের লাইন কী হবে ভাবতে বসেছিলাম, হঠাৎ দেখি- কারেন্ট অফ। একদিনে তিনদফায় প্রায় সাড়ে চারঘন্টা...।
তাই "গরম"-কে আর চটাতে সাহস পাচ্ছি না।

সবাই সুস্থ থেকো, ভালো থেকো।

4 - 0

Kahon
Posted 2 years ago

আজ বন্ধু দিবস।
কিন্তু বড় হতে হতে বন্ধত্বের সংজ্ঞা বদলে যায় সময়ে সময়ে।
বন্ধু মানে কারা- যারা আমাদের সংগে থাকে সবকটা পরীক্ষা- অ্যাসাইনমেন্ট- মিটিং-এ, নাকি রাত-দুপুরের মনখারাপে যারা থাকে ফোনের ওপারে? নাকি যাদের সাথে দেখে হয় বছরে হাতেগোনা ক'বার, কিন্তু মন ভালো করে দিতে অয়ারে মুহূর্তেই!
যারা আমাদের সমস্যাগুলো থেকে বাঁচিয়ে রাখে তারা আসল বন্ধু, না যারা আমাদের দোষগুলো ধরিয়ে দেয়, তারা?

এসবের উত্তর পেতে অবশ্যই শুনে নাও আমার লেখা গল্প "Variable : বন্ধু"।
https://youtu.be/AHYOl2n2Mas

2 - 0

Kahon
Posted 2 years ago

আমরা নব্বই-এর দশন থেকে একবিংশ শতকের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করি ঠিকই, কিন্তু ঊনবিংশ থেকে বিংশ শতকের কলকাতার পরিবর্তনও কম ছিল না।
একের পর এক জমিদারবাড়ি তখন পড়তির দিকে, আর কোনো অভিজাত বংশের ছাপ ছাড়াই একদল মানুশ নিজের চেষ্টায় হয়ে উঠছে বড়লোক। জাত খোয়ানো নিয়ে চুলচেরা বিচারের মাঝে তারা হারিয়ে ফেলছে তাদের ধর্ম।
ব্রিটিশরা স্কুলে “ব্রিটিশ হিস্ট্রি” পড়ানো বন্ধ করছে আর সারা দেশ জুড়ে লোকে অনুপ্রাণিত হয়ে উঠছে ব্রিটিশদের আন্দোলনের ইতিহাস থেকে।
বাংলাদেশের যুবক সমাজ রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের বাণীতে অনুপ্রাণিত হয়ে উঠছে আবার কী চলেছে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে।

এইসব ওঠা-পড়া ভাঙ্গা-গড়া নিয়েই বিমল মিত্রের উপন্যাস- “সাহেব-বিবি-গোলাম।”
আরো বিশদে জানতে চটপট শুনে নাও তার রিভিউ- https://youtu.be/lgcDZv4jvFY

1 - 0

Kahon
Posted 2 years ago

শুভ নববর্ষ বন্ধুরা! তোমাদের সবার খুব ভালো কাটুক ১৪২৯।

কদিন আগে হাতে-গরম উপন্যাস সংকলন্টা পেয়েই পড়ে ফেললাম সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা "কাঁচের দেওয়াল।" নতুন জীবনযাত্রার বিভিন্ন টানাপড়েন আর কলেজপড়ুয়াদের একাকিত্ব, হতাশা নিয়ে দুর্দান্ত উপন্যাস ৮০-৯০ এর দশকের প্রেক্ষাপটে।
তোমরা কেউ পড়েছ নাকি উপন্যাসটা? কেমন লেগেছে জানাও কমেন্ট সেকশনে।

6 - 2

Welcoem to posts!!

Kahon Posted 1 year ago

Kahon Posted 1 year ago

Kahon Posted 1 year ago

Kahon Posted 2 years ago

Kahon Posted 2 years ago

Kahon Posted 2 years ago

Kahon
Posted 1 year ago

Kahon
Posted 1 year ago

Kahon
Posted 1 year ago

Kahon
Posted 2 years ago

Kahon
Posted 2 years ago

Kahon
Posted 2 years ago