Daily Islamic TV

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

Al ummah foundation

0 - 0

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

জুমআর দিন আসরের পরে বুজুর্গদের আমলঃ -

১) “ বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত সাঈদ ইবনু জুবায়ের রাহিমাহুল্লাহ (জুমআর দিন) আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারও সাথে কথা বলতেন না। (পুরো সময়টা দোয়াতে মশগুল থাকতেন)। ”

- ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ
[যাদুল মাআদ : ১/২৮২]

২) ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ

“ জুমআর দিনটি হল ইবাদতের দিন। দিনের মধ্যে জুমআর দিনটি মাসের মধ্যে রমাদানের মতো আর জুমআর দিনের বিশেষ সময়টি মাহে রমাদানের লাইলাতুল কদরের মতো। ”
[যাদুল মাআদঃ ১/৩৮৬]

“ জুমআর দিন যে সময়টিতে দোয়া কবুল হয় তা হল, আসরের পরের শেষ সময়টি। সব ধর্মাবলম্বীরাই এই সময়টির কদর করে থাকে। ”
[যাদুল মাআদ : ১/২৮৪]

৩) ইমাম ইবনুল আসাকির রাহিমাহুল্লাহ তার বিখ্যাত ‘তারীখে দিমাশক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেনঃ

“ একবার সালত ইবনু বুস্তাম রাহিমাহুল্লাহ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তখন তার বন্ধুবান্ধবরা তার জন্য জুমআর দিন আসরের পর দোয়া করতে থাকেন। মাগরিবের পূর্বে তার একটি হাঁচি আসে এবং তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে। ”
[ইবনে আসাকির; তারীখে দিমাশক]

৪) হযরত তাউস বিন কায়সান রাহিমাহুল্লাহ জুমআর দিন আসরের নামাজ পড়ে কেবলামুখী হয়েই বসে থাকতেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারও সাথে কথা বলতেন না।
[তারীখে ওয়াসেত]

৫) মোফাজ্জাল বিন ফাজালা রাহিমাহুল্লাহ জুমআর দিন আসরের নামাজ পড়ে মসজিদের এক কোনায় একাকী বসে যেতেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত একটানা দোয়া করতে থাকতেন।
[আখবারুল কুযাত]

৬) বুজুর্গদের মধ্যে কোন এক বুজুর্গ বলেছেনঃ
“ আমি জুমআর দিন আসর ও মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ে যে কোনও দোয়াই করেছি আল্লাহ আমার সেই দোয়াই কবুল করেছেন। একটা পর্যায়ে আমার কাছে কিছুটা লজ্জাও লাগতো। ”

৭) ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ বলেছেনঃ
“ যার জুমআর দিন ঠিক হয়ে যাবে তার পুরো সপ্তাহ ঠিক হয়ে যাবে। ”
.
একটি বিশেষ দোয়াঃ -

اللهُمَّ إِنَّي أَسْأَلُكَ الْفِرْدَوْسَ الْأَعْلَى مِنَ الْجَنَّةِ

“ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর-জান্নাতুল ফিরদাউস কামনা করি। ”

ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ এই দোয়াটির ব্যাপারে বলতেনঃ

“ আপনি যদি কাউকে এই দোয়াটি বেশি বেশি করতে দেখেন তাহলে নিশ্চিত থাকুন যে, আল্লাহ তার জন্য তা লিখে রেখেছেন। ”

6 - 2

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

১০ই মুহাররাম

0 - 0

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

আশুরার ওয়াজ

0 - 0

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

কারবালার সঠিক ইতিহাস !

0 - 0

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

একটু কষ্ট করে নিচের হাদীস দুটি পড়েন,
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ إِذَا فَعَلَتْ أُمَّتِي خَمْسَ عَشْرَةَ خَصْلَةً حَلَّ بِهَا الْبَلاَءُ
রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাত যখন পনেরটি বিষয়ে লিপ্ত হয়ে পড়বে তখন তাদের উপর বিপদ-মুসীবত এসে পড়বে।
                        ‏فَقِيلَ وَمَا هُنَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏
প্রশ্ন করা হল ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেগুলো কি কি? তিনি বললেনঃ
                                إِذَا كَانَ الْمَغْنَمُ دُوَلاً
(১)যখন গানীমতের মাল ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত হবে,

                                    وَالأَمَانَةُ مَغْنَمًا
(২)আমানাত লুটের মালে পরিণত হবে,

                                    وَالزَّكَاةُ مَغْرَمًا
(৩) যাকাত জরিমানা রূপে গণ্য হবে,

                                   وَأَطَاعَ الرَّجُلُ زَوْجَتَهُ
(৪)পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে,

                                           وَعَقَّ أُمَّهُ
(৫) এবং মায়ের অবাধ্য হবে,

                                         وَبَرَّ صَدِيقَهُ
(৬) বন্ধুর সাথে ভাল ব্যবহার করবে,

                                          وَجَفَا أَبَاهُ
(৭) কিন্তু পিতার সাথে খারাপ ব্যবহার করবে,

                                وَارْتَفَعَتِ الأَصْوَات فِي الْمَسَاجِدِ
(৮) মসজিদে শোরগোল করা হবে,

                              وَكَانَ زَعِيمُ الْقَوْمِ أَرْذَلَهُمْ
(৯) সবচাইতে খারাপ চরিত্রের লোক হবে তার সম্প্রদায়ের নেতা,

                            وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مَخَافَةَ شَرِّهِ
(১০) কোন লোককে তার অনিষ্টতার ভয়ে সম্মান করা হবে,

                                                وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ
(১১) মদ পান করা হবে,

                                         وَلُبِسَ الْحَرِيرُ
(১২) রেশমী বস্ত্র পরিধান করা হবে,

                                    وَاتُّخِذَتِ الْقَيْنَاتُ
(১৩) নর্তকী গায়িকাদের প্রতিষ্ঠিত করা হবে,

                                        وَالْمَعَازِفُ
(১৪) বাদ্যযন্ত্রসমূহের কদর করা হবে ,

                                  وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلَهَا
(১৫) এবং এই উম্মাতের শেষ যামানার লোকেরা তাদের পূর্ব যুগের লোকদের অভিসম্পাত করবে,

               فَلْيَرْتَقِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ رِيحًا حَمْرَاءَ أَوْ خَسْفًا وَمَسْخًا ‏
তখন তোমরা একটি অগ্নিবায়ু অথবা ভূমিধ্বস অথবা চেহারা বিকৃতির আজাবের অপেক্ষা করবে।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২২১০

এর পরের বর্ননাটিতে গজবের কথা আরেকটু বিস্তারিত এসেছে।

فليرتقِبوا عندَ ذلكَ ريحًا حمراءَ وزلزلةً وخسفًا ومسخًا وقذفًا وآياتٍ تتابعُ كنظامٍ بالٍ قُطِعَ سِلكُهُ فتتابَع

তখন তোমরা অগ্নিবায়ু, ভূমিধস, ভূমিকম্প, চেহারা বিকৃতি ও পাথর বর্ষণরূপ শাস্তির এবং আরো আলামতের অপেক্ষা করবে যা একের পর এক নিপতিত হতে থাকবে, যেমন পুরানো পুঁতিরমালা ছিড়ে গেলে একের পর এক তার পুঁতি ঝরে পড়তে থাকে।
তিরমিজি-২২১১

4 - 0

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

#যদি কোন ব্যক্তির মধ্যে নিম্ন শর্তসমুহ পাওয়া যায় তাহলে, তার থেকে কুরআনের তাফসীর বা কুরআনের আলোচনা শুনা যাবে ও নেয়া যাবে।
আর শর্ত না পাওয়া গেলে তার থেকে কুরআনের তাফসীর বা কুরআনের আলোচনা শুনা যাবে না ও নেয়া যাবেনা ।

মহা পবিত্র কুরআনুল কারীম তাফসীর করা কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এ মহা বিজ্ঞানময় কুরআনের তাফসীর করার একমাত্র ক্ষমতা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দান করেছেন। ঘোষণা দিয়েছেন- إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ- القيامة: ٩١ আমারই দায়িত্ব এর বয়ান বা বিশদ ব্যাখ্যা প্রদান করা। তাই বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল কুরআনের শব্দ ও বাক্যের যে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন তা হলো তাফসীর।

যার ফলে বোখারী, তিরমিযি শরীফ সহ বহু হাদীস গ্রন্থ كتاب التفسير (কিতাবুত তাফসীর) বা তাফসীর অধ্যায় রেখেছেন। এ কারণে পৃথিবীতে আরবী ভাষায় কুরআন ব্যাখ্যার যত গ্রন্থ রচিত হয়েছে সবগুলোই تأويل (তাবীল) নামে অভিহিত। তাই প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রদত্ত ব্যাখ্যা, ভাষাবিদ ও কুরআন বিশারদগণের তাবীল মিলিয়ে কুরআন বুঝার যে বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা “তাফসীরুল কুরআন” হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

** শর্তসমুহ **

১/ মুসলমান, মুকাল্লাফ, (সিকা) বিশ্বস্ত, আমানতদার, পরহেজগার, মুত্তাকী হওয়া। বিদআতি ও পাপাচারী এবং ফাসেক না হওয়া।

১। ইলমুল লুগাহ (علم اللغة) ভাষা জ্ঞান।

২। ইলমুস সরফ (علم الصرف) আরবী শব্দ প্রকরণ সম্পর্কীয় জ্ঞান।

৩। ইলমুন নাহু (علم النحو) আরবী বাক্য প্রকরণ সম্পর্কীয় জ্ঞান।

৪। ইলমুল ইশতিকাক (علم الاشتقاق) শব্দের ব্যুৎপত্তিগত জ্ঞান।

৫। ইলমুল মা’আনী (علم المعانى) শাব্দিক অলংকরণ।

৬। ইলমুল বয়ান (علم البيان) বাক্য প্রয়োগ অলংকরণ।

৭। ইলমুল বদী (علم البديع) ছন্দ প্রয়োগ অলংকরণ।

৮। ইলমুল কিরাআত (علم القرأة) আল কুরআন পঠনরীতি জ্ঞান।

৯। উছুলুদ্দীন (علم اصول الدين) দীনের মৌলিক ভিত্তি ও মূলনীতির জ্ঞান।

১০। উসুলুল ফিকহ (علم اصول الفقه) ফিকহের মূলনীতির জ্ঞান।

১১। আসবাবুন নুযূল ওয়াল কাসাস (اسباب النزول و القصص) সুরা ও আয়াত সমূহ নাযিল হওয়ার কাল-প্রেক্ষিত, কারণ ও ঘটনাবলীর সম্পর্কীত জ্ঞান।

১২। আন নাসিখ ওয়াল মানসূখ (الناسخ و المنسوخ) রহিতকারী আয়াত ও রহিত আয়াত সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ।

১৩। ইলমুল ফিকহ (علم الفقه) আইন বিষয়ক জ্ঞান।

১৪। উলুমুল হাদীস (علوم الحديث) হাদীস সম্পর্কীয় জ্ঞান।

১৫। ইলমুল মাওহাবাহ (علم الموهبة) আল্লাহ প্রদত্ত সরাসরি জ্ঞান যার অপর নাম ইলমুল লাদুন্নী (علم اللدنى)

১৬। আল্লাহর যাত, সিফাত, হুকুম ও ইখতিয়ার সম্পর্কে (علم الذات و الصفات و الحكم و اختيارات الله) আল্লাহর সত্ত্বা, গুণাবলী, হুকুম-আহকাম ও ক্ষমতা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ।

১৭। কুরআন নাযিলের স্থান-কাল সম্পর্কে জ্ঞান (علم الزمان و المكان لنزول القران)

১৮। উলুমুল কুরআন (علوم القران) তথা কুরআন বুঝার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানের শাখা সম্পর্কে জানা।

১৯। ইলমুত তাওয়ারিখ (علم التواريخ) ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান।

২০৷ ইলমে লাদুনী থাকা।

উক্ত বিষয়গুলোর জ্ঞান অর্জন করার পরই একজন মানুষ কুরআন নিয়ে কথা বলতে পারে বা লিখতে পারে। তাই আমরা যারা কুরআন নিয়ে কথা বলি বা লিখি আমাদের কেউই মুফাসসির না। শুধুমাত্র কুরআন থেকে কুরআনের ব্যাখ্যা, কুরআন থেকে হাদীসের ও মনীষীগণের উপস্থাপিত তাবীলের সাহায্যে মানুষের সামনে কুরআনের বাণী ও শিক্ষা উপস্থাপনই লক্ষ্য। তাই গণমানুষের বুঝার জন্যই এ উপস্থাপনাকে তাফসীর হিসেবে পরিচিত করতে হচ্ছে।

এসব জ্ঞান হলো তাফসীরে কুরআনের অপরিহার্য মাধ্যম। এসব জ্ঞানে যথেষ্ট পারদর্শিতা অর্জন ব্যতিরেকে কেউ কুরআনের তাফসীর করলে তা হবে ‘তাফসীর বির রায়’ তথা মনগড়া তাফসীর বা ব্যাখ্যা, যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।’ তবে জ্ঞান থাকলেও যদি হাদীসের জ্ঞান না থাকে অথবা হাদীসকে বাদ দেয়া হয়, তবুও কুরআন বুঝা সম্ভব নয়।

2 - 0

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

বিভ্রান্তি মুলক ফতোয়া থেকে বিরত থাকুন।
************************************
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
عليكم ان تقرأء الاحاديث التالية وتتفكر فبها بمناسبة قبل الجمعة
চার রকাত কাবলাল জুমার দলীল।

(١) حدثنا محمد بن يحيى . حدثنا يزيد بن عبد الله . حدثنا بقية عن مبشر بن عبيد عن حجاج بن أرطاة عن عطية العوفي عن ابن عباس قال : – كان النبي صلى الله عليه و سلم يركع قبل الجمعة أربعا .) سنن ابن ماجه -ج 1 / ص 358)

অনুবাদ-ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-রাসূল সা. জুমআর পূর্বে চার রাকাত নামায পড়তেন। (সুনানে ইবনে মাজা-১/৩৫৮,হাদিস নং-১১২৯)

( ٢)   حدثنا أبو بكر قال حدثنا بن فضيل عن خصيف عن أبي عبيدة عن عبد الله قال كان يصلي قبل الجمعة أربعا )مصنف ابن أبي شيبة – (ج 1 / ص 463)

অনুবাদ-আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. জুমআর পূর্বে চার রাকাত নামায পড়তেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা-১/৪৬৩, হাদিস নং-৫৪০২)

(٣)وروي عن [ عبد الله ] بن مسعود أنه كان يصلي قبل الجمعة أربعا وبعدها أربعا (سنن الترمذى-رقم الحديث-523

অনুবাদ-আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় রাসূল সা. জুমআর পূর্বে এবং পরে চার রাকাত নামায পড়তেন। (সুনানে তিরমিজী-হাদিস নং-৫২৩)
(٤) حدثنا علي بن سعيد الرازي قال نا سليمان بن عمر بن خالد الرقي قال نا عتاب بن بشير عن خصيف عن ابي عبيدة عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه و سلم أنه كان يصلي قبل الجمعة اربعا وبعدها أربعا (المعجم الأوسط- رقم الحديث-3959

অনুবাদ-আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত-রাসূল সা. জুমআর পূর্বে এবং পরে চার রাকাত নামায পড়তেন। (আল মুজামুল আওসাত-হাদিস নং-৩৯৫৯)

(٥) حدثنا حفص عن الأعمش عن إبراهيم قال كانوا يصلون قبلها أربعا )مصنف ابن أبي شيبة – ج 1 / ص 463

অনুবাদ-ইবরাহীম নাখয়ী রহ. থেকে আ’মাশ বর্ণনা করেন যে, সবাই জুমআর পূর্বে চার রাকাত নামায আদায় করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা-১/৪৬৩, হাদিস নং-৫৪০৪)
   (٧)   عبد الرزاق عن معمر عن قتادة أن بن مسعود كان يصلي قبل الجمعة أربع ركعات وبعدها أربع ركعات قال أبو إسحاق وكان علي يصلي بعد الجمعة ست ركعات وبه يأخذ عبد الرزاق )مصنف عبد الرزاق – ج 3 / ص 247

ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত। তারা জুমআর পূর্বে এবং পরে চার রাকাত নামায পড়তেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৩/২৪৭, হাদিস নং-৫৫২৪)

( ٨) عبد الرزاق عن الثوري عن عطاء بن السائب عن أبي عبد الرحمن السلمي قال كان عبد الله يأمرنا أن نصلي قبل الجمعة أربعا وبعدها أربعا حتى جاءنا علي فأمرنا أن نصلي بعدها ركعتين ثم اربعا )مصنف عبد الرزاق – ج 3 / ص 247

অনুবাদ-আবু আব্দুর রহমান সালামী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. আমাদের আদেশ দিতেন জুমআর পূর্বে এবং পরে চার রাকাত নামায পড়তে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৩/২৪৭, হাদিস নং-৫৫২৫)

(٩) حدثنا فهد قال ثنا على بن معبد قال ثنا عبيد الله عن زيد عن جبلة بن سحيم عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما أنه : كان يصلى قبل الجمعة أربعا (شرح معانى الآثار-رقم الحديث-1816

         অনুবাদ-আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা. থেকে বর্ণিত। নবীজী সা. জুমআর পূর্বে চার রাকাত নামায পড়তেন। (তাহাবী শরীফ-হাদিস নং-১৮১৬)

শায়খ জনাব আলহাজ্ব মাওলানা কামাল উদ্দিন জাফরী সাহেব এর বিভ্রান্তুি মূলক ফতোয়া থেকে বেচে থাকুন।

5 - 1

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

#যদি কোন ব্যক্তির মধ্যে নিম্ন শর্তসমুহ পাওয়া যায় তাহলে, তার থেকে ফতোয়া বা মাসলা-মাসাইল নেয়া যাবে । আর শর্ত না পাওয়া গেলে তার থেকে ফতোয়া বা মাসলা-মাসায়েল নেয়া যাবেনা ।

ইসলামে মুফতির গুরুত্ব অপরিসীম। সে হল রাসুল( সাঃ) এর ইলেমের উত্তরসুরী। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নিযুক্ত প্রতিনিধি। তাই মুফতি হওয়ার জন্য কতগুলো শর্ত রয়েছে -------

** শর্তসমুহ **

১/ মুসলমান, মুকাল্লাফ, (সিকা) বিশ্বস্ত, আমানতদার, পরহেজগার, মুত্তাকী হওয়া। বিদআতি ও পাপাচারী এবং ফাসেক না হওয়া।

২/ ফতোয়ার ব্যাপারে উদাসীন ও বেপরোয়া না হওয়া। মুফতির জন্য আবশ্যক হলো,সে বিষয়টি সম্পর্কে পূর্ণ অধ্যয়ণ ও সম্যক ধারণা লাভ করে তারপর ফতোয়া দিবে। কেননা হাদীসে আছে, " তোমাদের মধ্যে যে ফতোয়া প্রদানের সাহস দেখাল সে যেন জাহান্নামের ব্যাপারে দুঃসাহস দেখাল "".

৩/ প্রত্যুৎপন্নমতিত্ত ফকীহ হওয়া। সাথে সাথে সুস্থ - মস্তিষ্ক সম্পন্ন সঠিক চিন্তাধারার অধিকারী ও দ্ব্যর্থহীন ও সুষ্পস্টভাষী হওয়া।

৪/ আরবি ভাষা ( ছরফ,নাহু, মানতেক, বালাগাত, ইত্যাদির) সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।
এবং ভাষায় প্রয়োগক্ষেত্র ও তার উৎস সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অধিকারী হওয়া।

৫/ পবিত্র কুরআনের উপর এই পরিমাণ বুৎপত্তি অর্জন করা, যার মাধ্যমে কোরআনে বর্ণিত সম্পন্ন বিধি - বিধান সম্পর্কে অবগত হতে পারে।

৬/ কুরআনের আয়াত নাছেখ-মানছুখ ও শানে নূজুল সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান থাকা ।

৭/ রাসুল (সঃ) এর সুন্নাতের ব্যাপারে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা।

হাদিস (আরবি: الحديث‎‎) বা আছার (আরবি: الأثر‎‎) হলো মূলত ইসলামের শেষ বাণীবাহকের বাণী ও জীবনাচরণ। হাদিসের উপদেশ মুসলমানদের জীবনাচরণ ও ব্যবহারবিধির অন্যতম পথনির্দেশ।[১] কুরআন ইসলামের মৌলিক গ্রন্থ এবং হাদিসকে কুরআনের ব্যাখ্যা হিসেবে অভিহিত করা হয়।

নিশ্চয়, তোমাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর রসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ। যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের আশা রাখে আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে। [সূরা আল আহযাব; আয়াত ২১]

৮/ হাদীসের রাবী সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান থাকা ।

৯/ উসুলে ফিকহ (আরবি: أصول الفقه‎‎)
আইনি তত্ত্ব বা আইনশাস্ত্রের মূলনীতির
উৎস, সূত্র এবং নীতিমালার উপর পূর্ণ জ্ঞান থাক।

১০/ কুরআন ওসুন্নাহর বিধান দলীল সহকারে উপস্থাপন করার যোগ্যতা থাকা।

১১/ অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে ধারণা থাকা।

১২/ সামাজিক প্রেক্ষাপট ও সমসাময়িক আইন সম্পর্কে ধারণা থাকা।

১৩/ পূর্ববর্তী ফকীহ গণের মাযহাব সম্পর্কে অবগত হওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে তাদের ইজমা আর কোন বিষয়ে ইখতেলাফ সে সম্পর্কে জানা থাকা।

১৪/ ক্বিয়াস,ইল্লত, ও ইজতেহাদের পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হওয়া। যেন শাখাগত মাসলা মাসায়েল ও উদ্ভুত সমস্যার সমাধান দিতে পারে।

১৫/ মুফতীর জন্য যে সমস্ত চারিত্রিক গুণাবলি দরকার সেগুলো অর্জন করা।

এমন গুণগুলো হলো -

যথা --
১/ ক্রোধ, ভয়, ক্ষুধা, মানসিক চিন্তা, প্রাকৃতিক চাহিদা থাকা অবস্থায় ফতোয়া না দেওয়া।

২/ হারাম বা মাকরূহ কোন হিলার মাধ্যমে ফতোয়া প্রদান না করা।

৩/ পার্থিব কোন কল্যাণ বা অকল্যাণের প্রতি লক্ষ্য না করা।

৪/ ফিকাহ শাস্ত্রে ব্যাপক ও দীর্ঘ অধ্যয়ন করা এবং সকল ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা ও ভারসাম্যের উপর অটল থাকা।

৫/ ফতোয়া প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকাশিত ফতোয়া সম্পর্কে অবগত হওয়া।

৬/ মাকাসেদে শরইয়্যাহ তথা শরীয়তের চাহিদা, উদ্দেশ্য ও ফিকহের মুলনীতিসমূহ এবং বিভিন্ন মাসআলার মধ্যে মৌলিক তারতম্যের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া।

৭/ উপরোক্ত বিষয়গুলো অর্জন করে আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্হা অনুযায়ী সেগুলো বাস্তবায়ন করা এবং মানুষকে ভুল ও সমস্যাপূর্ণ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান প্রদান করা।

বর্তমান সময়ে যারা মুফতির দাবীদার, জায়গায় জায়গায় ফতোয়া দিয়ে বেড়ান তাদের ক'জনের মধ্যে উপরোক্ত শর্তাবলীর কয়টি শর্ত পাওয়া যায়? অনেকের ক্ষেত্রে তো একটাও পাওয়া যায়না। কিন্তু তবুও ইসলামের বিষয়ে তারা অবলীলায় মতামত পেশ করেযাচ্ছে

0 - 0

Welcoem to posts!!

Daily Islamic TV Posted 2 years ago

Daily Islamic TV Posted 2 years ago

Daily Islamic TV Posted 2 years ago

Daily Islamic TV Posted 2 years ago

Daily Islamic TV Posted 2 years ago

Daily Islamic TV Posted 2 years ago

Daily Islamic TV Posted 2 years ago

Daily Islamic TV Posted 2 years ago

Daily Islamic TV Posted 2 years ago

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago

Daily Islamic TV
Posted 2 years ago